২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ) বিকাল ৩ টায় সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার নুর মার্কেট হতে ডিজিএফআই শ্যামনগর উপজেলা প্রতিনিধি সার্জেন্ট আল মামুন এর তথ্যের ভিত্তিতে ভূয়া আপন বহুমুখী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এর পরিচালক সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ল্যান্স কর্পোরাল মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান (৪৫) পিতাঃ আহমদ আলী(গ্রামঃ মনশ্বর,থানাঃরাজারহাট,জেলাঃ কুড়িগ্রাম) নিজেকে শ্যামনগর উপজেলায় অবসরপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট অফিসার পরিচয় দিয়ে তার প্রতিষ্ঠানে ১৮০০০ টাকা বেতন দেওয়ার প্রলোভন দিখিয়ে নিজের টাইপ করা একটি কাগরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এলাকায় প্রচার করলে ৪০ জন লোকের থেকে ২০০ টাকার ফরমে আবেদন করেন এবং জামানত হিসাবে ৪০ হাজার টাকা করে জন প্রতি নেওয়ার জন্য প্রার্থীদের কাছে প্রস্তাব করে কাজ করেন।৪০ জন থেকে ৪০ হাজার টাকা করে প্রাথমিকভাবে মোট ১৬ লক্ষ টাকা কালেকশন করা প্লান করেন। *উল্লেখ্য যে* তিনি কোন পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার প্রশ্নপত্র সহ যাবতীয় সরঞ্জামসহ তাকে শ্যামনগরের আবাসিক হোটেল ম্যানগ্রোভ থেকে আটক করা হয়।
উল্লেখিত আপন বহুমুখী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এর পরিচালকের সাথে আরো স্থানীয় শ্যামনগর উপজেলার দুই জন প্রতারক প্রতারণার সাথে জড়িত রয়েছে। তারা হলেন ১। মোঃ ফয়সাল বাদশা (৩২) পিতা: শামসুর রহমান(গ্রামঃ ছোট কুপট,পোষ্টঃ নওয়াবেকী,থানাঃশ্যামনগর,জেলাঃ সাতক্ষীরা,২। জিএম সেলিম আহমেদ(৩৫) পিতাঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল,গ্রামঃ +পোষ্টঃ নওয়াবেকী,থানাঃ শ্যামনগর,জেলাঃ সাতক্ষীরা) উক্ত তিন প্রতারককে ডিজিএফআই সাতক্ষীরা উপ-শাখার নজরদারি মাধ্যমে সেনাবাহিনীর পাওখালি কালিগন্জ ক্যাম্পের মাধ্যমে আটক করা হয়।
উল্লেখিত ব্যক্তিরা ১ বছর আগে শ্যামনগর উপজেলায় সোশ্যাল এন্ড কালচারাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও পরিচালনা করে এলাকায় প্রতারনা করে মানুষের থেকে টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়ে যায়।পরবর্তীতে তারা উক্ত নাম পরিবর্তন করে আপন বহুমুখী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন নামে এনজিও খোলে এলাকায় চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করার উদ্দেশ্য কাজ চলমান ছিল।
উক্ত ফোন বহুমুখী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এর এমডি সহ তিন প্রতারকে ডিজিএফআই সাতক্ষীরা উপ-শাখার মাধ্যমে নজরদারি করে প্রতারনার কাগজপত্র,যাবতীয় ডকুমেন্টস প্রমান সহ সেনাবাহিনীর কালিগন্জ ক্যাম্পের মাধ্যমে আটক করা হয়।
শ্যামনগর উপজেলায় আপন বহুমুখী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এর কোন অফিস বা কার্যক্রম নেই।উপজেলা সমাজ সেবা অফিসের কোন ছাড়পত্র বা নিবন্ধন নেই,উপজেলা প্রশাসনের কোন অনুমতি নেই।কোন কার্যক্রম না থাকা সত্ত্বেও তারা নিয়োগ দিয়ে নিয়োগ বানিজ্যের করার চেষ্টা করে।