জাল টাকা তৈরির সরঞ্জাম এবং জাল টাকাসহ এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউপির ঘোলা এলাকায় র্যাব এবং পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে প্রতারক এবাদুল সরদারকে গ্রেফতার করে।
এসময় ১৪ হাজার জাল টাকাসহ জাল টাকা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত এবাদুল সরদার ঘোলা গ্রামের গোলাম হোসেন সরদারের পুত্র।
শ্যামনগর থানা পুলিশ জানায়, যশোরের ঝিকরগাছা এলাকার মৃত আলতাফ হোসেন মোড়লের পুত্র আলি হোসেন সেন্টুর পূর্ব পরিচিত একই এলাকার খলিলুর রহমানেরপুত্র বাবলুর মাধ্যমে শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউপির ঘোলা গ্রামের এবাদুল সরদার এবং একই এলাকার মৃত ইসমাইল হোসেন সরদারের পুত্র গোলাম হোসেন সরদারের সাথে পরিচয় ঘটে। পরিচয়ের সূত্র ধরে এবাদুল ও গোলাম হোসেনগং কেমিক্যাল দিয়ে টাকা দ্বিগুন করে দেওয়ার মিথ্যা প্রলোভন দেখাতে থাকে। তাদের প্রলোভনে পড়ে প্রথমে ভুক্তভোগী সেন্টু ৭লক্ষ টাকা এবং তার বন্ধু আবুল কাশেম ৮লক্ষ ৩০ হাজার টাকা প্রদান করে। কিন্তু দ্বিগুন টাকা তো দূরের কথা মূল টাকা না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকে তারা। টাকা ফেরত চাইলে খুন জখমের হুমকি ধামকি প্রদর্শণ করতে থাকে। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী আলি হোসেন সেন্টুর অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব এবং পুলিশ কাশিমাড়ী ইউনিয়নের ঘোলা এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। সে সময় র্যাব ও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গোলাম হোসেন ও বাবলু পালিয়ে গেলেও এবাদুলকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় এবাদুলের ঘর তল্লাশী করে প্রতারনার কাজে ব্যবহৃত জাল ১৪ হাজার টাকা, ১টি প্লাস্টিকের মাঝারী কৌটা, ৩টি প্লাস্টিকের বোতল, ছোট কাচের শিশিসহ জাল টাকা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
এঘটনায় ভুক্তভোগী আলী হোসেন সেন্টু বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-০৯।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম বাদল সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১ জন আসামী গ্রেফতার হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।