সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে এক বাসের হেলপারকে পিটলেন বিজিবি সদস্য।
শুক্রবার (৯ই ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে চারটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে জানা যায় বংশীপুর থেকে একজন মহিলা যাত্রী দুইটা বাচ্চা সহ মুন্সিগঞ্জ স্টান্ডের উদ্দেশ্যে আসে। হেলপার ঐ যাত্রীর কাছে ভাড়ার টাকা চাইলে তিনি দিতে অস্বীকৃতি জানালে দু পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বাসে থাকা মহিলাযাত্রী হেলপার টিকে চড়-থাপ্পর মারতে থাকে। পক্ষান্তরে হেলপার ভাড়ার টাকা আদায়ের জন্য ব্যাগ ধরে টানাটানি শুরু করে। ঠিক এমনি পরিস্থিতিতে বিজিবির এক সদস্য এসে হেলপারকে বেধড়ক পিটায় বলে জানিয়েছেন তারা।
গাড়িতে আসা মহিলা যাত্রী আকলিমা(ছদ্মনাম) এর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বাচ্চা নিয়ে বংশিপুর থেকে মুন্সিগঞ্জ আসার পথিমধ্যে বাসের হেলপার আমার কাছে বাচ্চার ভাড়া বাবদ অতিরিক্ত টাকা দাবি করে আমি টাকা না দেওয়ায় আমার সাথে দূর ব্যবহার করে।
আপনি হেলপারকে মেরেছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে ওই যাত্রী বলেন হ্যাঁ আমি মেরেছি কারণ সে আমার সাথে চরম খারাপ ব্যবহার করেছে।
অন্যদিকে বাসের হেলপার বলেন, আমি ভাড়ার টাকা চেয়েছি কিন্তু কোন টাকা না দিয়ে উনি যখন চলে যাচ্ছিলেন তখন আমি তার ব্যাগ টেনে ধরি। ব্যাগ ধরার সাথে সাথে ঐ যাত্রী আমাকে এলোপাথাড়ি চড়-থাপ্পড় দিতে থাকে তারপরও আমি ব্যাগ ছাড়িনি। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য কাউন্টারের দায়িত্ব থাকা মালেক ভাইকে ডাকছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তে একজন এসে আমাকে কিল ঘুষি লাথি মারতে থাকে।পরবর্তীতে জানতে পারি উনি একজন বিজিবির সদস্য। স্থানীয়রা যখন ওই সদস্যের উপর ক্ষিপ্ত হয় তখন উনি নিজের প্রভাব দেখিয়ে ওই যাত্রীদের তার গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়ে সে। উপস্থিত ওই বিজেপি সদস্যের কাছে জানতে চাইলে মারধরের ঘটনার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন,মহিলাকে ধরে টানাটানি করছিল তাই আমি তাকে মেরেছ। সরকারি একটি বিশেষ বাহিনীর সদস্যের এমন আচরণে অসন্তোষ প্রকাশ করেন উপস্থিত জনসাধারণ। উপস্থিত জনসাধারণের অনেকেই বলেন,উনি যে বিজিবি সদস্য এটা জানতাম না। আমরা জানি উনি বেশ কয়েকটি গাড়ির মালিক। বুড়ি গোয়ালিনী থেকে তার একের অধিক গাড়ি ভাড়ায় পরিচালিত হয়। বিশেষ এই বাহিনীর সদস্য তার চাকরির বিপরীতে কিভাবে এটি পরিচালনা করেন সেটা নিয়ে মোটামুটি বিস্মিত অনেকেই