সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর সুরত আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হযরত আলী সহ ২ জনকে পিটিয়ে যখম করে আটক রাখে ও তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। সংবাদ পেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী ও থানা পুলিশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ভ্রাম্যমান আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অমিত কুমার। সরেজমিন ও থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সুরাত আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হযরত আলীকে গত দুইমাস যাবত স্কুলে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না একটি দুর্বৃত্তচক্র। চাহিদামত নির্দিষ্ট টাকা দিতে পারলেই অফিসে প্রবেশ করানো হবে মর্মে হুমকি ধমকী দেওয়া হয়েছে বললেন অতর্কিত হামলার শিকার প্রধান শিক্ষক। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয় ঐ এলাকায়। একপর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেই গতকাল ২০ অক্টোবর রবিবার সকাল ১০টায় প্রধান শিক্ষক হযরত আলী বিদ্যালয়ে গেলে তার উপরে অতর্কিত হামলা হয়। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জানান, আমি বিদ্যালয়ে পৌঁছানো মাত্রই স্থানীয় নেতা আজাদ সহ ৪০/৫০ জন অতর্কিত হামলা চালায় আমার ও আমার ২ জন সঙ্গীর উপর। নেপথ্যে সহকারী প্রধানশিক্ষক ফজলুল হক, শিক্ষক শহিদুল ইসলাম মকুল ও মোশাররফ হোসেন সহ কয়েকজন শিক্ষার্থীদের উসকে দিয়ে আমার ওপরে ষড়যন্ত্র ও হামলার পরিকল্পনা করে। একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা আমাকে সহ আমার দুই সঙ্গীকে স্কুলের গেট থেকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে এবং এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে কদমতলা বাজারের একটি ঘরে আটকিয়ে রাখে। মুহুর্তেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার খবরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ও কালিগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক শাহিনসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঐ ঘর থেকে আমাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে প্রধান শিক্ষক ও তার দুই সহযোগী শ্যামনগর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের খাঁন মোহাম্মদ আলীর পুত্র আব্দুল কাইয়ুম ও গৌরীপুর গ্রামের জহুর আলীর পুত্র হাবিবুর রহমান কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাধীন। এঘটনায় কালিগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে জানা গেছে। থানার সেকেন্ড অফিসার প্রদীপ কুমার রায় বলেন এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভাঙচুর হওয়া মটর সাইকেলটিও থানায় আনা হয়েছে। তবে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক আছে।