রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সম্মেলন আগামীকাল মঙ্গলবার। সম্মেলনকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে নেতাকর্মীদের মাঝে।
এ সম্মেলনে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে কাজ করছেন নেতারা। এরই মধ্যে সম্মেলনকে সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
এদিকে সম্মেলন উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে মহানগরজুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ, সাঁটানো হয়েছে পোস্টার, ব্যানার। কয়েক দিন ধরে নগরজুড়ে মাইকিং করা হচ্ছে। মহানগর ও ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এছাড়া নগরীতে শুভেচ্ছা মিছিলও করছে জাতীয় পার্টি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সব মিলিয়ে সম্মেলন ঘিরে জাতীয় পার্টির দুর্গখ্যাত রংপুরে সাজসাজরব বিরাজ করছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
এছাড়া জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রায় অর্ধডজন নেতার সম্মেলনে যোগদানের কথা রয়েছে।
তবে সম্মেলন ঘিরে সাজসাজরব দেখা গেলেও অনেক নেতাকর্মী মনে করছেন, আগের কমিটি বহাল রেখে কমিটি গঠনের ঘোষণা আসতে পারে। বর্তমান কমিটিতে সভাপতি পদে রয়েছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইয়াসির।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির দুই বছর মেয়াদি কমিটি গঠন করা হয় ২০১৭ সালে। ওই সময় জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রধান অতিথি ছিলেন। এরপর ২০১৮ সালের আগস্টে পূর্বের কমিটি বহাল রেখে দুই বছরের জন্য আগের কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
বর্তমানে কমিটির মেয়াদ দুই বছর পার হয়েছে। মঙ্গলবার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলন সামনে রেখে ইতোমধ্যে নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে জাতীয় পার্টির কমিটি গঠন করতে পারলেও মহানগরের ৬টি থানায় এখন কমিটি গঠন হয়নি। তবে সম্মেলনের পরে থানা কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন পার্টির নেতারা।
জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা মনে করেন, সামনে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনের আগে এবারের সম্মেলন অনেক গুরুত্ব বহন করবে। বিগত সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করে এখানে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হন। বিজয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে এবং জাতীয় পার্টিকে সংগঠিত করতে এ সম্মেলনের গুরুত্ব অনেক। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।