ভারতীয় জল সীমায় দুর্ঘটনা কবলিত বাংলাদেশী নৌযান এমভি রাফসান হাবিব-৩ (এম নং-০১-১২৮০) এর ০৯ জন নাবিককে নীলডুমুর বিজিবির সহায়তায় প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
বিজিবির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায় ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ হতে ভারতে গমনকারী নৌযান এনডি রাফসান হাবিব-৩ সহ ০৯ জন নাবিক ভারতীয় জল সীমায় দূর্ঘটনা কবলিত হয়। পরবর্তীতে দূর্ঘটনা কবলিত নৌযানটি তার ০৯ জন নাবিকসহ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হতে তিন মাস ভারতীয় জল সীমার ভিতরে হেমনগর কোস্টাল পুলিশের তত্ত্ববধায়নে পরিবার হতে বিচ্ছিন্ন থেকে মানবেতর জীবনযাপন করে। এই ঘটনা সম্পর্কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) অবগত হওয়ায় অনতিবিলম্বে দুর্ঘটনা কবলিত নৌযানটি সহ নাবিকদের দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য বিজিবি পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করে।
এরই প্রেক্ষিতে সদর দপ্তর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সার্বিক দিক নির্দেশনায় নীলডুমুর ব্যাটালিয়ন (১৭ বিজিবি) এর সার্বিক প্রচেষ্টায় বিএসএফ, স্থানীয় প্রশাসন এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় সাধন করে, ২৮ এপ্রিল শুক্রবার ২.৩০ ঘটিকায় নীলডুমুর ব্যাটালিয়ন (১৭ বিজিবি) এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বিজিবি-বিএসএফ এর সহযোগিতায় কাচিকাঠি খাল দিয়ে দূর্ঘটনা কবলিত ০৯ (নয়) জন নাবিকসহ নৌযানটি এমডি রাফসান হাবিব-৩ অন্য একটি জাহাজের সহায়তায় (বাংলাদেশী M.V.TLN-22, M-10684) টোয়েংর মাধ্যমে প্রত্যাবাসন সম্পন্ন করা হয়। নীলডুমুর ব্যাটালিয়ন (১৭ বিজিবি) কর্তৃক ভারতে আটকে থাকা এই নাবিকদের যথাযথ খাদ্য ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। নীলডুমুর ব্যাটালিয়ন (১৭ বিজিবি) এর সার্বিক সহায়তায় নৌযানটি এমভি রাফসান হাবিব-৩, ০৯ জন নাবিকসহ আনুষ্ঠানিকভাবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এসময় দুই দেশের সিমান্তরক্ষী বাহিনী উপস্থিত ছিলেন।