বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন। আর এই পার্বনের লিস্টের সবচেয়ে মিষ্টি উৎসবটি হলো ভাইফোঁটা। ভাই বোনের মিষ্টি সম্পর্ক উযাপনের উৎসব। ভাইয়ের মঙ্গল কামনা ও দীর্ঘায়ু চেয়ে ভাইফোঁটা পালিত হয়। বোনেরা ভাইয়ের কপালে দই চন্দনের ফোঁটা দেয়। অনেকে এই ফোঁটাকে বোনের তরফ থেকে পাওয়া রক্ষা তিলক বলে মনে করেন। যা সারাবছর ভাইদের সমস্ত বাধা বিপত্তি থেকে দূরে রাখে।
চন্দনের ফোঁটা দেওয়ার কারণ :- কপালে চন্দন দেওয়া হলে মস্তিষ্ক ঠান্ডা থাকে। চন্দনের প্রভাবে মানুষের ধৈর্য শক্তি বৃদ্ধি পায় ও একাগ্রতা বাড়ে। একইসাথে চন্দনের ফলে আমাদের মন ও শান্ত থাকে। তাই চন্দনের ফোঁটা দিলে মানুষের মস্তিষ্ক ঠান্ডা হয়, ধৈর্য একাগ্রতা ইত্যাদি সুগুণগুলি বাড়ে। স্বাভাবিকভাবেই চন্দনের ফোঁটা দিয়ে মানুষের সার্বিক মঙ্গল কামনা করা হয়। আবার শাস্ত্রে বলা হয় কারোর যদি জন্মবারের দিন ভাইফোঁটা পরে তাহলে চন্দনের ফোঁটা দেওয়া উচিত নয়। সেক্ষেত্রে ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার দিন দইএর ফোঁটা দেওয়া হয়।
দইয়ের ফোঁটা দেওয়ার কারণ :- দই কে বেছে নেওয়ার কারণ ও একই। চন্দন এর মত একই গুণ আছে দই এর। আর ভাইফোঁটাতে যেহেতু মঙ্গল কামনায় প্রধান, তাই এই দুই উপাদান ব্যবহার করা হয় এই তিথিতে। স্বাভাবিকভাবেই তাই চন্দন ও দই এর ফোঁটো দেওয়ার ফলে ভাইদের সার্বিক কল্যাণ সাধিত হয়।