বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আল্লাহর রহমতে আজকে যে বৃষ্টি হচ্ছে এটি কল্যাণের, এই বৃষ্টি মঙ্গলের। বাংলাদেশে সোনালি ধানে দেশ ভরে যাবে। সারা বিশ্বে দুর্ভিক্ষ হলেও বাংলাদেশে খাদ্যে দুর্ভিক্ষ হবে না। যথেষ্ট খাদ্য আমাদের মজুদ রয়েছে। পৃথিবীর অন্য দেশে হতে পারে, আমাদের যে খাদ্য রয়েছে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বড় কোনো দুর্যোগ না দিলে আমরা কোনো খাদ্য সংকট মোকাবেলায় পড়ব না। দেশে কোনো হাহাকার নাই। আগামীতেও কোনো হাহাকার হবে না ইনশাআল্লাহ।
সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। টাঙ্গাইল শহরের পৌর উদ্যানে আয়োজিত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক।
মন্ত্রী আরও বলেন, দেশ থাকলে সরকার থাকতে হবে। দেশের সার্বভৌমত্ব, দেশের আইনশৃঙ্খলা ও মানুষের নিরাপত্তায় পুলিশ থাকতে হবে। পুলিশ থাকবে না, এটা কী হয়। তারা রেললাইনে আগুন দিবে, বিদ্যুৎ লাইন কেটে দিবে, ঘরে আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষ মারবে, আর পুলিশ চুপ করে বসে থাকবে। আমরাও চুপ করে বসে থাকব না। ২০১৫ সালে ৯০ দিন হরতাল দিয়েছিল। যেভাবে ঘরে ঢুকিয়েছিলাম, যেভাবে মাথা নিচু করে গুলশানের বাড়িতে গিয়েছিলো, আগামী দিনেও সেভাবেই যেতে হবে। রাজপথ তাদের কাছে থাকবে না।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, সদস্য এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার।
প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি। বিশেষ বক্তা ছিলেন সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলমগীর খান মেনু ও শামসুল হক, যুবলীগের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মামুনুর রশিদ, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র সাহা প্রমুখ।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃষ্টি উপেক্ষা করেও সম্মেলনে হাজার হাজার নেতাকর্মী ছাতা ও বৃষ্টিতে ভিজে অংশগ্রহণ করেন।