বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)-এর মধ্যে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত
৩০ অক্টোবর ২০২২ তারিখ বাংলাদেশ সময় সকাল ১০.০০ ঘটিকা থেকে বেলা ০২.৫০ ঘটিকা পর্যন্ত বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ শাহপরীরদ্বীপ বিওপি সংলগ্ন সাউদার্ন পয়েন্টে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এবং মায়ানমারের নম্বর (১) বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চ, পিইন ফিউ-এর মধ্যে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত পতাকা বৈঠকে ০৮ সদস্য বিশিষ্ট বিজিবি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে দেন টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার এবং বিজিপি’র ০৭ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পুলিশ লেঃ কর্ণেল ইয়ে ওয়াই শো (Police Lieutenant Colonel Ye Wai Soe), অধিনায়ক, নম্বর (১) বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চ, পিইন ফিউ, মায়ানমার।
উক্ত পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত এলাকায় উদ্ভুত পরিস্থিতি নিরসন ছাড়াও মায়ানমার নাগরিকদের অবৈধ অনুপ্রবেশ ও মাদক পাচার রোধ সম্পর্কে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। বন্ধুপ্রতীম দুটি রাষ্ট্রের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পারিক যোগাযোগ, আস্থা এবং নির্ভরতার পরিবেশ তৈরীর জন্য ভবিষ্যতে আরও ফলপ্রসূ ও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এছাড়াও সীমান্ত এলাকায় মায়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর হেলিকপ্টার উড্ডয়ন, ক্ষুদ্রাস্ত্র এবং ভারী অস্ত্রের ফায়ারিং এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিজিবি প্রতিনিধিদলের প্রধান কর্তৃক বিজিপি প্রতিনিধিদলের কাছে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। সীমান্তে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখা, মায়ানমারের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফলে চলমান সংঘাতের জের ধরে ভবিষ্যতে যেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোন গোলা পতিত না হয় সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখার বিষয়ে বিজিপিকে আহবান জানানো হয়। প্রতিবেশী সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে বিজিবি আশা করে যে, মায়ানমারের চলমান অভ্যন্তরীণ সংকট অতিশীঘ্রই সমাধান হবে এবং সীমান্তে চলমান উদ্ভূত পরিস্থিতি দ্রুত নিরসণ হবে। সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং সীমান্তে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য বিজিবি সবসময় বিজিপি’র নিকট দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের প্রত্যাশা করে। উক্ত বিষয়ে বিজিপি ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন।সীমান্তবর্তী জনসাধারণের নিরাপত্তা এবং সীমান্তে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে উভয় বাহিনীর অধিনায়ক একসাথে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
পরিশেষে পারস্পরিক বিদায়ী শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের মাধ্যমে অত্যন্ত শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বাংলাদেশ সময় বেলা ০২.৫০ ঘটিকায় পতাকা বৈঠকের আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি ঘটে এবং বিজিপি প্রতিনিধিদল বেলা ০৩.০০ ঘটিকায় মায়ানমারের উদ্দেশ্যে প্রত্যাবর্তন করে।