জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভালো। নশ্বর এই পৃথিবীতে, ক্ষণজন্মা কিছু মানুষ তার আপন কর্ম মহিমায় অবিনশ্বর হয়ে থাকেন। যাদের জন্মই হয় মানুষের কল্যাণে নিজের জীবন উৎসর্গ করার জন্য। তেমনি একজন তরুণ হলেন আনিছুর রহমান মিলন, সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার বাদঘাটা গ্রামের মোঃ শহিদুল ইসলাম এর একমাত্র পুত্র আনিছুর রহমান মিলন। তিনি সরকারি খান বাহাদুর আহসানউল্লাহ কলেজের অনার্স ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। এবং সে সেচ্ছাসেবী সংগঠন সিডিও ইয়ুথ টিমের সদস্য।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের মাঝে করোনা ভাইরাস নিয়ে ভয়, বিভ্রান্তি, অসচেতনতা এবং কুসংস্কার রয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মী শফিউদ্দিন মারা গেলে খবর ছড়িয়ে পড়ে, সে নাকি করোনা আক্রান্ত ছিল। শফিউদ্দিনের স্ত্রী সহযোগিতা চাইলে প্রতিবেশিরা ভয়ে শফিউদ্দিনের বাড়ির কাছেও যায়নি। শফিউদ্দিনের স্ত্রী ভেবে কোন কূল-কিনারা পাচ্ছিলেন না। তখনই এগিয়ে এলেন করোনাযোদ্ধা আনিছুর রহমান মিলন।
নিজ দ্বায়িত্বে শফিউদ্দিনের মৃতদেহ বাড়ীতে নিয়ে দাফনের ব্যবস্থা করেন তিনি। ফ্রেন্ডশিপ শ্যামনগর হসপিটাল থেকে কোভিড প্রতিরোধ প্রশিক্ষণের সময় আনিসুরের মন থেকে কোভিড নিয়ে সকল ধরনের ভীতি, তথ্য বিভ্রাট এবং কুসংস্কার চলে গেছে। বরং এই মহামারী বিষয়ে সে অনেক বেশি জানতে পেরেছে এবং সঠিক দিকনির্দেশনা পেয়েছে। সেই প্রশিক্ষণই তাকে সাহসী করে তুলেছে এবং প্রস্তুত করেছে কমিউনিটির উপকারে।
ফেন্ডশিপের ২০ বছর পূতি অনুষ্ঠানে কোভিট যোদ্ধা আনিছুর রহমান মিলনকে বিশেষ সম্বর্ধনা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ২ টায় ফেন্ডশিপ হাসপাতালে কনফারেন্স রুমে শ্যামনগর ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে পরিচালক ডাঃ লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ মোজাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আক্তার হোসেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা মোঃ শাহিনুল ইসলাম, উপজেলা মৎস্য কর্মকতা তুষার মজুমদার, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার মোঃ শাকির হোসেন ও হাসপাতালে ডক্টর নার্স ও কর্মি বৃন্দ।