শ্যামনগরের ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত নদী কালিন্দি থেকে নোনা পানি তুলে চিংড়ি ঘের করায় ৫ শতাধিক বিঘা জমির ধান নষ্ট। প্রশাসনের নিকট অভিযোগ হলেও নিরব ভ‚মিকায় রয়েছে তারা।
শ্যামনগরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নদী কালিন্দির পানিউন্নয়ন বোর্ডের বেড়ি কেটে নোনা পানি তুলে প্রভাবশালীরা চিংড়ি ঘের করায় ৫ শতাধিক জমির ধান নষ্ট হয়েছে। ফলে সহশ্রাধিক কৃষকের মাথায় হাত উঠেছে। কৃষক রাজিব মিস্ত্রি জানান তার ২ বিঘা জমিতে ধান করে ছিলাম য আমার সারা বছরের খাদ্যর সংস্থান ছিল তা সব মরে গেছে।প্রবাল রপ্তান জানান, মহাজনের নিকট থেকে সুধে ঋণ নিয়ে বীজ ধান, সার, কীটনাশক ক্রয় করে ধানের চারা রোপন করার পর এলাকার প্রভাবশালী প্রশান্ত বর্মন, রুহুল আমিন, আল মামুন, জাকির হোসেন, রঞ্জন রপ্তান সহ কয়েক ব্যাক্তি পাউবোর বাধ কেটে পাইপ বসিয়ে নোনা পানি তোলার ফলে সকল ধান নষ্ট হয়েছে। সে কারনে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকার তাগিদে অন্যত্র পাড়ী জমাতে হচ্ছে কৃষকদের। শৈলখালী গ্রামের কৃষক অমিত মন্ডল জানান, আমার ছেলে মেয়ে স্ত্রীকে নিয়ে অনেক খাটুনি করে ৪ বিঘা জমিতে ধান করেছি কিন্তু নোনা পানির কারনে সব মরে গেছে। সারা বছর কি করে চলব কিভাবে ছেলে মেয়েদের পড়ার খরচ জোগাবো আর কি খেয়ে বেঁচে থাকব।তা নিয়ে মহা চিন্তায় আছি।
ভুক্তভোগী তপন বায়েন জানান, ২ বিঘা জমিতে খরচ করে ধান রোপন করেছি অথচ নোনা পানির কারনে সব ধান মরে সাবাড় এখন কি খেয়ে জীবন ধারণ করব তাই মহাজনের কাছ থেকে সুধে টাকা নিয়ে ছেলেমেয়েদের পড়ার খরচ ,খাওয়ার সংস্থান করতে হচ্ছে। ধান না হওয়ার কারনে এবার হয়ত কাজের তাগিদে ভারতে যেতে হবে। এমন অভিযোগ সহস্রাধিক কৃসকের । এব্যপারে কথা হয় নোনা পানি তুলে চিংড়ি ঘেরকৃত অভিযুক্ত তরিকুল ইসলাম, প্রশান্ত বর্মন,রুহুল আমিন, আল-মামুনজাকির হোসেন,রঞ্জন রপ্তানের সাথে । তারা জানান, আমরা পাউবো কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পাইপ বসিয়ে নোনা পানি তুলছি কে ধান করবে তা আমাদের জানার দরকার নাই। কথা হয় সংশ্লিষ্ট এলাকার বাধের দায়িত্বে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তার সাথে তিনি বলেন, এলাকাবাসী ও কৃষকের অভিযোগ পেয়েছি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কথা হয় শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আক্তার হোসেনের সাথে তিনি বলেন কৃষকের অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নওেয়া হবে।