ফলোআপ
শ্যামনগর উপজেলার নূরনগরের দেওড়াবাড়ী নূরনগরে অবৈধ ভাবে সঞ্চয় ও ঋণ পাস বই পি.ডি.এফ.বি নামে ভুয়া এনজিও প্রতিষ্ঠান খুলে আব্দুর রশিদ নিজে মালিক বনে গেছেন। তিনি তার প্রতিষ্ঠানের নামে গ্রাহকদেরকে হয়রানি করছে বলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন একাধিক ব্যক্তি। এরই মধ্যে একজন ভুক্তভোগী শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেছেন। সেই অভিযোগ কারি হলেন একই গ্রামের মৃত কাশেম গাজী ছেলে মোঃ ফরিদ আহমেদ। তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জানা যায়, মৃত্যু আতিয়ার রহমানের ছেলে মোঃ আব্দুর রশিদ সরকারি নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে অবৈধ ভাবে অনুমোদন বিহীন পি.ডি.এফ.বি ব্যবসায়িক সঞ্চয় ও ঋণ পাস বই খুলে গ্রাহকদের নিকট ভুল বুজিয়ে সঞ্চয় গ্রহণ ও লোন দিয়ে অতিরিক্ত সুদের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আব্দুর রশিদ এরই মধ্যে নতুন করে আরও একটি এনজিও খুলেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। সেই সমিতির অফিস নুরনগরে বাজারে রয়েছে বলে জানা যায়। আব্দুর রশিদ একজন সুদ ব্যবসায়ী সে ভুয়া এনজিওর মাধ্যমে প্রতি লাখে ঋণের বিপরীতে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এছাড়া অসহায় মানুষের সুযোগ নিয়ে সুদখোর আব্দুর রশিদ বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ব্ল্যাক চেকের পাতা ও নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প (ফাকা) স্বাক্ষর নিয়ে থাকেন। আসল টাকা ফেরত দিলেও সুদের সুদ তারও সুদ না দিলে তার বিরুদ্ধে মামলা করার ভয় দেখান। যার ফলে তার বিরুদ্ধে কেও মুখ খুলতে সাহস পায়না। সে কোন আয় করে না। অথচ রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সাধারন মানুষ। এই বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুর রশিদের বক্তব্য হচ্ছে তার কোন দোষ নেই। এই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। স্থানীয়রা বলছে যদি দুদক কর্মকর্তারা তার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির খোঁজ খবর নেয় তাহলে তার বৈধ আয়ের উৎস খুঁজে পাবে না। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সহ এলাকাবাসি।