দেবহাটার পারুলিয়ায় ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের সামনে কর্কশিট রেখে লোডআনলোড করতে নিষেধ করায় জীবননাশ, ব্যাবসা সহ বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী উত্তর পারুলিয়া গ্রামের মৃত আফছার আলীর ছেলে মনিরুল ইসলাম (৩৫) বাদি হয়ে দেবহাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, পারুলিয়া বাসষ্ট্যান্ডের উত্তর পাশে জাকির টাওয়ার সংলগ্ন “মায়ের দোয়া ষ্টীল এন্ড থাই এ্যালুমোনিয়ম” নামে মনিরুল ইসলামের একটি দোকান আছে। যেখানে তিনি দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু কিছুদিন যাবত পারুলিয়া এলাকার বিলায়েত আলী ছেলে ট্যান্সপোর্ট ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন (৩৭) উক্ত দোকানের সামনে প্রতিদিন দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সারি সারি কর্কশিট স্তুপ করে রাখে। এতে ওই দোকানের যাওয়া আসার ব্যাপক সমস্যা সৃষ্টি হয়। এমনকি কর্কশিটের নোংরা, দূর্গন্ধযুক্ত পানি পড়ে আশেপাশের এলাকার পরিবেশ নষ্ট হয়। এছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে বাসে কর্কশিট ভর্তি মালামাল লোড করায় যানজটের সৃষ্টি হয় এবং পশ্চিম পাশে রাস্তায় গর্তের সৃষ্টি হয়। চলতি বর্ষার মৌসুমে সেই স্থানে পানি জমে জনসাধারনের চলাচলের বিঘœ ঘটছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ও বাজার কমিটিকে জানানো হলেও কোন প্রকার সমাধান আসেনি। এমনকি কর্কশিট ভর্তি মালামাল অন্যত্র সরিয়ে লোড করার বিষয়ে বলতে গেলে প্রাণনাশ, ব্যবসার ক্ষতি সহ বিভিন্ন হুমকি দিতে থাকে ইমরান হোসেন। এঘটনার প্রতিকার চেয়ে মঙ্গলবার রাতে বাদি হয়ে দেবহাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম।
এবিষয়ে দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ বাবুল আক্তার জানান, বিষয়টি নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। একজনের ক্ষতি করে আর একজন ব্যবসা করবে এটা ঠিক নয়। কারো ক্ষতি সাধন না করে উভয় যাতে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া কর্কশিট মোড়ানো বক্সে আসলে কি যায় সেটিও তদন্ত করা হবে।