দেবহাটায় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের সমাপনি উপলক্ষে পুরষ্কার বিতরণী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মেলন কক্ষে উক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষে অবহিতকরণ সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুল লতিফের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবর রহমান।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নুরুস সালাম সিদ্দিক, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. পলাশ দত্ত, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সোলায়মান হোসেন, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান শাওন, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বাবু, সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. সাকিব হাসান, মেডিকেল অফিসার ডা. অমিতেশ দাশ, ডা. শোভন মল্লিক, ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস, ডা. ফাতেমা ফারহানা সহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যাক্তিবর্গ। পরে চিত্রাঙ্কন, কুইজ, বক্তৃতা, বিতর্ক সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এদিকে, চলতি মাসের আগামী ১৮ তারিখে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে উপজেলার ১২১ টি কেন্দ্রে ১৩ হাজার ৮ শত ৭৮ জন শিশুকে এই সেবার আওতায় আনা হবে। যার মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে নীল রঙের এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। উল্লেখ্য যে, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে রাতকানা রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রম গ্রহণ করেন। শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্যোগ নেন। পরবর্তী সময়ে বর্তমান সরকার ২০১০ সাল থেকে নিয়মিতভাবে বছরে দুইবার ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা শূন্য দশমিক শূন্য চার শতাংশে নেমে এসেছে। ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে অন্ধত্ব প্রতিরোধ ছাড়াও শিশুর দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত হয়। শিশু মৃত্যু হার ২৪ ভাগ হ্রাস করে। হাম, ডায়রিয়া এবং নিউমোনিয়ার কারণে মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসে। তাই ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে এ প্লাস ক্যাম্পেইনের আওতায় আনতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান ডা. আব্দুল লতিফ।