বিচ্ছেদ নয়, মিলনই মৌলিক, সৌহার্দ সম্প্রীতি সম্ভ্রমের এই শ্লোগানে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় কালিগঞ্জে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে গঙ্গা যমুনা সাহিত্য উৎসব। বে— সরকারী উন্নয়ন সংস্থা সুশীলনের আঞ্চলিক কার্যালয়ে শনিবার (৫ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে পতাকা উত্তোলন, শান্তির প্রতিক পায়রা উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। পরে সুশীলনের মিলনায়তনে বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও প্রবন্ধীক অধ্যাপক গাজী আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রাক্তন সচিব ও সাতক্ষীরার প্রাক্তন জেলা প্রশাসক মোঃ আবদুস সামাদ ফারুক। তিনি তার বক্তব্যে বলেন কবিতার শক্তি কামানের গোলার চেয়েও শক্তিশালী, দুই বাংলার অদ্যকার মিলনমেলা দেখতে চাই অনেকবার বারবার। সাহিত্য রস মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে সুষ্ঠু সমাজ বিনির্মানে। সাহিত্য ও সাংস্কৃতি দুই বাংলাকে একাট্টা করে রেখেছে। কাটাতারের বেড়া আমাদেরকে ভাগ করতে পরেনি। আমি অভিভূত হয়েছি দুই দেশের বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিকদের এই মিলন মেলায় উপস্থিত হতে পেরে। এমনিভাবে ছোট বড় উৎসবের মধ্যদিয়ে সাহিত্য ও আমাদের সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে হবে।সাহিত্য উৎসবের উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা, কালিগঞ্জ সার্কেলের অতিঃ পুলিশ সুপার মোঃ আমিনুর রহমান আমিন, কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ হালিমুর রহমান বাবু, ভারতের বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক ড. কানাই সেন, সুশীলনের নির্বাহী পরিচালক ও বিশিষ্ট আবৃতি শিল্পী মোস্তফা নুরুজ্জামান, বাংলা একাডেমীর পুরুস্কার প্রাপ্ত কবি ও সাহিত্যিক হোসেন উদ্দীন হোসেন, বাংলা একাডেমী এর উপ পরিচালক ইমরুল ইউসুপ, ভরতের বিশিষ্ট কবি ও সঙ্গীত শিল্পী কল্লোল ঘোষাল, সঙ্গীত শিল্পী ও কবি অঞ্জনা গোষ্মামী, বিশিষ্ট কবি ও সরকারী কর্মকর্তা অনিন্দ্য আনিস, ভারতের শিল্পী সান্তনা দাশ, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, কবি পল্টু বাসার, কবি মনজুর লুৎফর রহমান, কবি এস এম মমতাজ হোসেন মন্টু, কবি শুভ্র ও সম তুহিন প্রমুখ। কালিগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, সুশীলনের উপ পরিচালক মোস্তফা আক্তারুজ্জামান পল্টু ও বিশিষ্ট আইনজীবি জাফরুল্যাহ ইব্রাহিমের সঞ্চালনায় সাহিত্য উৎসবে অংশগ্রহন করেন দুই বাংলার (ভারত ও বাংলাদেশ) কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, সাংবাদিক ও সূধীবৃন্দ। সন্ধ্যায় দুই দেশের শিল্পীদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।