শুক্রবার (৪ এপ্রিল) রাত ১২টা ৫ মিনিটে উপজেলার নকিপুর গাজীপাড়া জামে মসজিদের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মোঃ সামিউল ইসলাম মুন্না সাবেক সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার এর জামাই নামে পরিচিত শ্যামনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাবের মিস্ত্রীর ছেলে।
শ্যামনগর থানা পুলিশ জানায়, সরকার উৎখাতের লক্ষ্যে মিছিল ও বোমা ফাটিয়ে জনমনে আতংক সৃষ্টির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার আসামি হিসেবে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে তাকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ।
স্থানীয় মসজিদের ইমামসহ এলাকাবাসী জানাই,
তার পরিবারের বিরুদ্ধে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শ্যামনগর থানা মসজিদ মাদ্রাসার ইমামের জায়গা দখল করে বাড়ি করা, স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির জায়গা দখল করা, বিভিন্ন লোকজনকে মারধর, কলেজে পড়াকালীন সময় ছাত্রলীগের পরিচয়ে অনৈতিক কাজ সহ না না অভিযোগ রয়েছে। তাকে আটক করায় এলাকার মানুষ সন্তুষ্ট সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।
থানা পুলিশ জানায়, ২০২৫ সালের, ১২ মার্চ রাত ১১টা ৫ মিনিটে আওয়ামী লীগের কর্মীরা ষড়যন্ত্র ও নাশকতার পরিকল্পনা করে সরকার উৎখাতের লক্ষ্যে ও জনসাধারণের শান্তি বিনষ্ট ও সরকারি সম্পদের ক্ষতিসাধনের লক্ষ্যে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র, লাঠি, হকিস্টিক, রামদা, ককটেল, হাত বোমা ও লোহার রড নিয়ে একত্রিত হয়ে শ্যামনগর থানাধীন কাশিমাড়ী ইউনিয়নের কাশিমাড়ী বাজারের পশ্চিম পার্শ্বের কৃষকলীগের ইউনিয়ন সেক্রেটারি আব্দুর রহিমের বাড়ির সামনে হতে জয়নগর মোড় অভিমুখ হঠাৎ ঝটিকা মিছিল বের করে। মিছিলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস ও তার সরকারের বিরুদ্ধে নানা শ্লোগান দিতে থাকে এবং ককটেল, হাতবোমা ফুটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে করতে সামনে অগ্রসর হতে থাকে এবং জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধুসহ সরকার বিরোধী নানা শ্লোগান দেয়।
স্থানীয় বর্তমান ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে সাধারণ মানুষ মিছিলটিকে ধাওয়া দিলে সাধারণ মানুষের সাথে মিছিলে অংশগ্রহণকারী আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে অনেকেই আহত হন। এ খবর পেয়ে শ্যামনগর থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মিছিলের ব্যানার ও অবিস্ফোরিত তিনটি বোমা, ককটেল উদ্ধার করে।
এ মামলার আসামি হিসেবে মোঃ সামিউল ইসলাম (২২) কে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।