জাপা নেত্রী চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন সহ পরকীয়া প্রেমিক ব্যাংক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে স্বামীর ব্যভিচারিও প্রতারণা মামলা দায়ের। মামলাটি দীর্ঘ শুনানি করে বিজ্ঞ আদালত চেয়ারম্যান ও তার পরকীয়া প্রেমিকের নামে সমন জারি করেছে।
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন এর স্বামী সাজেদুল হক সাজু সাতক্ষীরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গতকাল সোমবার ১৭ এপ্রিল বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং সি আর ৩৬১/ ২৩। আদালতে দায়ের করা মামলার সূত্র থেকে জানা যায় কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীনের সঙ্গে গত ৬/২/২০ ইং তারিখে ১,৯৯,৯৯৯ টাকা দেন মোহরে রেজিস্ট্রি কাবিন মূলে প্রেমের সূত্র ধরে সাজেদুল হক সাজুর সঙ্গে বিবাহ হয়।
বিয়ের পর হতে পরলোভী একাধিক পুরুষে আসক্ত হয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ব্যাংকার, ব্যবসায়ী ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের টার্গেট করে পরকীয়া প্রেমের ফাঁদে ফেলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিল। নিজের স্বামী সন্তান থাকতে বাড়ির পাশে কৃষ্ণনগর বাজারে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক কৃষ্ণনগর শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক সাতক্ষীরার সদরের পুরাতন সাতক্ষীরা গ্রামের আব্দুল হাকিমের পুত্র রফিকুল ইসলামের পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে দু’জনে দু’জনার করে পেতে সাফিয়ার বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপরত অবস্থায় বেরসিক স্বামীর হাতে ধরা পড়ে। ওই সময় ব্যাপক উত্তম মধ্যম ও বেধড়ক পিটুনি খেয়ে মান সম্মান রক্ষার্থে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য এইচ এম গোলাম রেজার নিকট আকুতি জানালে তাৎক্ষণিক গোলাম রেজার অনুরোধে স্বামী সাজেদুল হক সাজু দুজনকে ছেড়ে দেয়। পরে সাবেক সংসদ সদস্য এইচএম গোলাম রেজার উপস্থিতিতে মুচলেকা দিয়ে রেহাই পায়। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে স্বামীর নামে ১কোটি টাকার ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ, নারী নির্যাতন চাঁদাবাজি প্রতারণা সহ ৪টি মামলা দায়ের করেযাহা বর্তমান তদন্তাধীন।
অবশেষে স্বামী সাজেদুল হক সাজু উপায়ান্তর না পেয়ে আদালতে স্ত্রী এবং তার পরকীয়া প্রেমিকের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ব্যভিচারের মামলা দায়ের করেছে। বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ শুনানি করে সমন জারি করে এবং আগামী ২৯ শে মে ধার্য তারিখ ঘোষণা করে। বর্তমান কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীনের এই অসামাজিক, অনৈতিক কার্যকলাপ নিয়ে সমগ্র ইউনিয়ন জুড়ে চেয়ারম্যানের নিয়ে নানান প্রশ্ন হাট-বাজার, গ্রামেগঞ্জে আলোচনা সমালোচনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। দ্রুত ইউনিয়নবাসী চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীনের অপসারণের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় সরকার ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভিন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ লুট পাটের ঘটনায় দু’দুকে ইউনিয়নবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তাধীন আছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের টাকা দিয়ে গরীব দুস্থ মানুষদের নতুন সেলাই মেশিন না দিয়ে পুরাতন সেলাই মেশিন ছাড়াও বয়স্ক ভাতা বিধবা ভাতা প্রতিবন্ধী ভাতা শিশু ভাতা র কার্ড দেয়ার নাম করে বিভিন্ন জনের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একাধিক অভিযোগ দিলেও আজও পর্যন্ত অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন হয়নি।