দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকা-জাপানের ফ্লাইট চালুর চেষ্টা করছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। আর এ মাসেই ঢাকা থেকে জাপানের নারিতা রুটে ফ্লাইট শুরুর পরিকল্পনা করছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠানটি। এ বিষয়ে নেওয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি। রবিবার (১৩ নভেম্বর) বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
বিমান এমডি জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই ঢাকা-নারিতা রুটে ফ্লাইট শুরু হবে। তবে এর সম্ভাব্য তারিখ আগামী ২৯ নভেম্বর। সবকিছু ঠিক থাকলে এ দিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রীদের নিয়ে জাপানের নারিতার উদ্দেশে উড়াল দেবে বিমানের প্রথম একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট। ২ ডিসেম্বর যাত্রী নিয়ে বিমানের ফিরতি ফ্লাইট ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসবে।
বিমান কর্মকর্তারা জানান, নারিতায় ফ্লাইট চালুর ক্ষেত্রে জাপান সরকারের অনুমোদন পেয়েছে বিমান। সম্প্রতি বিদেশি পর্যটকদের জন্য জাপানকে উন্মুক্ত ঘোষণা করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, এ কারণেই দেশটিতে বিমানের পরিষেবা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথ খুলে যাচ্ছে। এত দিন করোনাভাইরাসের কারণে জাপানে পর্যটক ভ্রমণ নিষিদ্ধ ছিল। ঢাকা থেকে সরাসরি আকাশপথে নারিতা যেতে সময় লাগে প্রায় সাড়ে ১০ ঘণ্টা।
২৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) জাপান সরকারের আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় সফরে দেশটিতে সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তাই সে দিনই এ রুটে বিমানের ফ্লাইট কার্যক্রম উদ্বোধন হতে পারে। সফর শেষ করে আগামী ৩ ডিসেম্বর ফেরার কথা রয়েছে সরকারপ্রধানের।
জাপানে ফ্লাইট পরিচালনায় বিমানকে ফিফথ ফ্রিডম সুবিধা দিয়েছে জাপান। অর্থাৎ ঢাকা ও নারিতার মধ্যবর্তী একটি বিমানবন্দর থেকে যাত্রী নিয়েও এ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা যাবে। বিমানের এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় ও এশিয়ার অন্য অঞ্চলগুলোর সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগের পথ খুলবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিমানের সম্ভাব্য পরিকল্পনা অনুযায়ী, জাপানের আকাশ পরিষেবা সংস্থা জাপান এয়ারের সঙ্গে কোড শেয়ার চুক্তিতে যাওয়ার কথা রয়েছে। কোড শেয়ার হলো এমন একটি পদ্ধতি, এর মাধ্যমে দুটি এয়ারলাইন্সের যাত্রীরা যেকোনো একটি এয়ারলাইন্সের টিকিট কেটে অন্য এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে পারেন।