বন্দর সচিব ওমর ফারুক আজ সোমবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, সকালে জেটি থেকে ১৮টি জাহাজ সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তখনই জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানো-নামানো বন্ধ হয়ে যায়। বিকেল পাঁচটা থেকে বন্দর চত্বর থেকে পণ্য খালাসও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যন্ত্রপাতি ও কনটেইনার পণ্যের সুরক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এখন বন্দরে পণ্য রাখার ছাউনি সুরক্ষিত করা হচ্ছে। ছাউনির নিচের স্তরে থাকা পণ্য সরিয়ে নিরাপদে রাখা হচ্ছে। জলোচ্ছ্বাস হলেও যাতে ছাউনিতে পানি প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য ছাউনির ফটকের সামনে বস্তা দিয়ে প্রতিরোধক দেওয়া হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এখন বাংলাদেশ উপকূলমুখী। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলেছে।
১৯৯২ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রণীত ঘূর্ণিঝড়-দুর্যোগ প্রস্তুতি ও ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেত অনুসারে চার ধরনের সতর্কতা জারি করে বন্দর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর সংকেত জারি করলে বন্দর প্রথম পর্যায়ের সতর্কতা বা ‘অ্যালার্ট-১’ জারি করে। আবহাওয়া অধিদপ্তর ৪ নম্বর সংকেত জারি করলে বন্দর ‘অ্যালার্ট-২’ জারি করে।
বিপৎসংকেত ৫, ৬ ও ৭ নম্বরের জন্য বন্দরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করা হয়। মহাবিপৎসংকেত ৮, ৯ ও ১০ হলে বন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘অ্যালার্ট-৪’ জারি করা হয়। এ দুই ধরনের সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি হলে বন্দর-জেটিতে অবস্থানরত জাহাজগুলোকে সরিয়ে নেওয়া হয়। পর্যায়ক্রমে পণ্য খালাসও বন্ধ করে দেওয়া হয়।