খোলপেটুয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন প্রশাসন দেখেও দেখছে না
শ্যামনগর উপজেলার পদ্মাপুকুর ইউনিয়ন আওতাধীন খোলপেটুয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন
হাইকোটের ১৬৩৯২/২০১৭ নং রীট পিটিশন আদেশ অমান্য করে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তিরা স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যহত রয়েছে।
এমন অবস্থা চলতে থাকলে পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র হুমকির মুখে পড়বে। বিস্তীন্ন এলাকা পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে গেজেটে ঘোষনা করা হয়েছে ৯ টি উপজেলা তার শ্যামনগর উপজেলা রয়েছে।
১৪২৪ ও ১৪২৫ সালে শ্যামনগর উপজেলায় কোন বালু মহল ঘোষনা না হলেও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে। শ্যামনগর উপজেলার পদ্মাপুকুর ইউনিয়ন আওতাধীন খোলপেটুয়া নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে আশাশুনি উপজেলার কাজে ব্যবহার হচ্ছে বলে জানাগেছে।
এদিকে ২০-১২-২০২২ তারিখ মঙ্গলবার দুপুরে পদ্মাপুকুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা তপন বাবুর নির্দেশে অফিসের স্টাফ যেয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনের বালু সহ কার্গো জব্দ করেন।
কিছুক্ষণ পরে পদ্মাপুকুর ইউনিয়ন ভূমিক কর্মকর্তা উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের ফোন আছে বলে বালু উত্তোলনের কার্গোটি ঘটনাস্থলে ছেড়ে দিয়ে চলে আসতে বলে স্টাফদের। বর্তমান এখনো বালু উত্তোলনের কাজ চলোমান রয়েছে খোলপেটুয়া নদীতে।এভাবে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলছে শ্যামনগরে বালু উত্তোলন
এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ব্যবহৃত মোবাইলে বারবার ফোন দিলেও রিসিভ হয়নি।
এবিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন আশাশুনি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের জন্য কিছু বালু দিয়েছিলাম পরবর্তীতে আবার অবৈধভাবে বালু তুলছিলো আমরা কার্গো জব্দ করেছি।
ঘটনাস্থল থেকে বালুর কার্গো জব্দ করে আবার ছেড়ে দিয়ে আসার ব্যাপারে পদ্মাপুকুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা তপন বাবুর কাছে জানতে চাইলে বলেন উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের ফোন রয়েছে এজন্য ছেড়ে দিয়েছি।