সাতক্ষীরার শ্যামনগরে কৈখালীতে বসত বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগ স্ত্রী ও প্রতার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মোঃ মাকছুদুর রহমান বাদী হয়ে শ্যামনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগে মোঃ মাকছুদুর রহমান বলেন, মোছাঃ নাজমা বেগম এর সঙ্গে বিগত আনু: ১০ বছর পূর্বে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। বিবাহিত দাম্পত্য জীবনে আমার ঔরষে ১নং বিবাদীনির গর্ভে ১টি পুত্র মোঃ ইব্রাহিম খলিল জন্ম গ্রহন করে। বিবাহের পর থেকে আমার দাম্পত্য জীবন আদৌ সুখ ও শান্তির হয় নাই। ৫নং বিবাদীর আশ্রয় প্রশ্নয়ের কারনে ২, ৪ নং বিবাদী উঠতি বয়সের যুবকদের সাথে অবাধে অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত সহ ভারত থেকে অবৈধ পথে মাদক দ্রব্য পাচার করিয়া এবং বিভিন্ন স্থান থেকে নারী সংগ্রহ করিয়া পতিতলায় খুলিয়া যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বিবাদীদের এহেন কার্যকলাপে আমি প্রতিবাদ করায় সেই আক্রোশে ক্ষিপ্ত হইয়া সকল বিবাদীরা আমাকে ভিটা বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করার জন্য ভয়-ভীতি হুমকি ধামকি দিতে থাকে। তাহারই জের ধরিয়া গত ইং- ৩০/০৭/২০২৩ তারিখ সকাল আনু: ৬.০০ ঘটিকার সময় সকল বিবাদীরা একযোগে আমার বর্তমান ঠিকানা শিবচন্দ্রপুর গ্রামস্থ নিজস্ব জায়গার উপর নির্মিত ঘরে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরাইয়া দেয়। আশে পাশের লোকজন কলসে করিয়া পানি দিয়ে আগুন নিভানোর চেষ্টা করিলে ততক্ষনে আমার বসত ঘরটি আগুনে পুড়ে ভস্মিভূত হইয়া আনু: ৬,০০,০০০/- (ছয় লক্ষ) টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়।
আগুন দেওয়ার বিষয়টি সরাসরি প্রত্যক্ষ করে। ঘটনার একদিন আগে অর্থাৎ ইং- ২৯/০৭/২০২৩ তারিখ রাত্র আনু: ৮.০০ ঘটিকার সময় ১.২ নং বিবাদী তোড়ার মোড় নামক স্থানে জনৈক মাহবুবুরের দোকান থেকে এক বোতল পেট্রোল কিনেছে বলে নিশ্চিত করে।
এ ঘটনায় মোছাঃ নাজমা বেগম, মোহাঃ তাছলিমা খাতুন, মোঃ মিয়ারাজ হোসেন, মোহাঃ ঝর্ণা খাতু পিতা: মৃত্যু মাহমুদ। মোছাঃ নূর জাহান বেগম স্বামী- মৃত্যু মাহমুদ গাজী সর্বসাং- শিবচন্দ্রপুর, পোঃ আজাদনগর নাম অভিযোগে উল্লেখ করেন।
মোছাঃ নাজমা বেগম, বলেন আমাদেরকে ভিটে ছাড়া করার জন্য মোঃ মাকছুদুর রহমান ও তার বড় স্ত্রীর লোকজনের এনে ভোর রাতে আমাদের বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।