সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় শিশু খাদ্য তৈরির বেকারিগুলোর বেশির ভাগ নেই সরকারি অনুমোদন বা বিএসটিআই।কলারোয়া উপজেলা ৪নাং লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নের তৈলকুপি ৪ নাং ওয়ার্ডের প্রত্যান্ত গ্রামে ভিতরে গড়ে উঠেছে মাধবকাটি বেকারি রিগ্যাল ফুডস নামে একটি প্রতিষ্ঠান। নোংরা পরিবেশের ও নিম্নমানের কাঁচামাল দিয়ে তৈরি হচ্ছেন শিশু খাদ্য।
৭ নভেম্বর সোববার সকাল ১২ টায় মাধবকাটি বেকারি রিগাল ফুডস এর প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা গিয়েছে নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে শিশু খাদ্য। অপরিচ্ছন্ন তেলের ড্রাম থেকেই তেল নিয়ে আটা মাখাচ্ছে কর্মীরা। খাদ্যের ফ্লেভার, খাওয়ার সোটা, বিভিন্ন প্রকারের রং দেখা মিলেছে সেখানে। একটি পাত্র ছিল না পরিষ্কার সবগুলো ছিল অপরিচ্ছন্ন। এই প্রতিষ্ঠানটিতে এক রকম শিশু খাদ্য নিয়ে চলছে অনিয়মের বিশাল কারুকার্য ৭ তারিখে গিয়ে দেখা গিয়েছে রুটি বিস্কুটের গায়ে উৎপাদন তারিখে ৮ তারিখ যেখানে আজ চলছে সাত তারিখ। ৭ তারিখে জন্য প্রস্তুত উৎপাদিত খাদ্যের গায়ে উৎপাদন তারিখের জায়গায় 9 তারিখ বসিয়ে রেখেছে আগে থেকেই। একটি প্রোডাক্টের নেই বিএসটিআইয়ের অনুমোদনের নাম্বার।
সাংবাদিক দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মাধবকাটি বেকারি ও রিগাল ফুডসের মালিকের ভাই। এ বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের কে ছবি তুলতে বাধা দেয় বারবার সাংবাদিক পরিচয় দিল তার ক্ষিপ্ততা বেড়ে যেতে থাকে আরও বেশি। পরবর্তীতে তার কাছ থেকে খাবারের মেশানো ফ্লেভার স্বাস্থ্য ক্ষতিকর কিনা জানতে চাইলে তিনি সেগুলোকে স্বাস্থ্য ক্ষতিকর নয় বলে দাবি করেন। এবং মালিকের ভাই পরিচয়দানকারী এই ব্যক্তি আরো বলেন উৎপাদন তারিখের জায়গায় যে দিন মার্কেটে এই পূর্ণটি ঢুকবে সেই তারিখটা ব্যবহার করে থাকিআমরা।
মাধবকাটি বেকারি ও রিগাল ফুডসের ম্যানেজার আরিজুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান উৎপাদন তারিখ হিসেবে মার্কেটে যেদিন নেয়া হয় সেদিনটাই আমরা ব্যবহার করে আসছি। এতে কোন সমস্যা নেই খাদ্যের বিএসটিআই আছে বলেও দাবি তার। কিন্তু সাংবাদিকদের কে তিনি সেটি দেখাতে বাধ্য নন।
এই বিষয়ে বেকারির মালিক সিরাজুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান বিগত ১৮ বছর ধরেই আমরা এই কাজটা করে আসছি। আপনারা কি করতে পারবেন? আর কাজের জায়গায় একটু অপরিষ্কার হয়েই থাকে এটা নিয়ে কথা না বলাই ভালো। বি এস টি আই ছাড়া খাদ্য বিতরণের বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান বিগত বছরগুলো আমরা এভাবে চালিয়ে আসছি।
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিদপ্তর সাতক্ষীরা সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিকদের কে জানান, আপনারা যেটি দেখেছেন সেটি লিখুন। অভিযোগ থাকলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। প্রতিদিনই আমাদের অভিযান করছি। অভিযান অব্যাহত আছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব।