”উপকূলের কথা তোমরা কি শুনতে পাও না”
শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের নীলডুমুর আলাউদ্দিন মার্কেটে শনিবার (১২নভেম্বর) সকাল ১০ টায় জলবায়ু সম্মেলনকে সামনে রেখে উপকূলীয় প্রেসক্লাবের আয়োজনে পরিবেশ উন্নয়ন ক্লাব, সিডিও ,সুন্দরবন স্টুডেন্টস সলিডারিটি টিম ও গবেষনা প্রতিষ্টান বারসিকের সহযোগিতায় র্যালি, মানববন্ধন ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিশরের আল শেখে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জলবায়ু সম্মেলন (পড়ঢ়২৭) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে । এবারের জলবায়ু সম্মেলন নিয়ে আগ্রহ বিরাজ করছে পৃথিবীর সর্ব স্তরের মানুষের মধ্যে।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক সাইদুজ্জামান সাইদ,
শিক্ষক রনজিত বর্মন, বারসিকের প্রোগাম অফিসার বাবলু জোয়ারদার, সুন্দরবন স্টুডেন্টস সলিডারিটি টিমের সমন্বয়ক রাইসুল ইসলাম, উন্নয়ন কর্মী পিযুষ বাউলিয়া পিন্টু, বনজীবি আজগর আলী
উপকূল বাচলে বাচঁবে দেশ। উপকূলকে বাদ দিয়ে সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উপকূলসহ বাংলাদেশ দায়ী নয়। দায়ী হলো ধনী দেশগুলো কিন্তু দায় নিতে হচ্ছে বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশ। কার্বন নিঃসরণ না কমানো যায় তাহলে আমরা ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়বো। এমন ভাবে চলতে থাকলে দেখা যাবে একটা সময় আমরা টিকে থাকতে পারবো না।
বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উপকূলীয় এলাকায় ঝুকি দিন দিন বাড়ছে। উপকূলীয় এলাকায় মানুষের বসবাস করা খুবই কষ্ট সাধ্য হয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত প্রকৃতির সাথে সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হচ্ছে। এই এলাকার মানুষ তাদের নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল থেকে জলবায়ু সম্মলনে অংশগ্রহনকারী ধনী রাষ্টগুলো জানতে চাই আমাদের নিয়ে খেলা করলে আর হবে না। আমাদের অধিকার আমাদের দাবী মানতে হবে। আমাদের ক্ষতিপুরন দিতে হবে।কার্বন নি:সরন কমাতে হবে। আমাদেও সকল প্রানের নিরাপত্তা চাই। সেই সাথে উপকূলের সুপেয় পানির আধার তৈরী ও সংরক্ষন।
বক্তারা আরো বলেন, কার্বন নি:সরনকারী ধনী দেশগ্রলোকে জানাতে চাই আপনারা আপনাদের ভোগ বিলাসী জীবন থেকে বের হয়ে আসেন আমাদের বাঁচতে দিন। সেই সাথে উপকূলের মানুষের অধিকার ও নায্যতার দাবী তুলে ধরতে উপকূল দিবস পালনের মধ্য দিয়ে সরকারের কাছে দাবী জানাই উপকূল দিবস কে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হোক।
এর আগে উপকূল দিবস উপলক্ষে একটি সুবিশাল র্যালি নীলডুমুর বাজার ঘুরে এসে বনবিভাগ অফিসের পাশে নদীর পাড়ে মানববন্ধন করেন। আলোচনা সভা শেষে উপকূল বিষয়ে সচেতনতা তৈরীতে জারী গান অনুষ্ঠিত হয়।
উপকূল দিবসে স্থানীয় জনগোষ্টির দাবীসমূহ:
১. ১২নভেম্বরকে উপকূল দিবস ঘোষনা করতে হবে ২.টেকসই ভেড়ীবাধ তৈরী করতে হবে সেই সাথে বাঁধ তৈরীতে স্থানীয়দের মতামত নিতে হবে ৩. জলবায়ুর পরিবর্তনের জন্য দায়ী ধনী দেশগুলোর নিকট থেকে জলবায়ু ক্ষতিপূরণ আদায় ও কম কার্বন নির্ভর জীবনযাপনে বাধ্য করা ৪.নদী ভাঙন রোধে নদীর গভীরতা বাড়াতে হবে ৫. উপকূলের উন্নয়নে আলাদা বোর্ড গঠন করতে হবে।