আশাশুনি স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ মিজানুল হকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সেবার মান এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ডিজিএইচ স্কোরিং-এ বাংলাদেশের ৫৭০টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যে আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সপ্তম স্থান অধিকার করেছেন। জানা গেছে হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও স্টাফের উপস্থিতি। বহির বিভাগে রোগীর সংখ্যা, ভর্তি রোগীর সংখ্যা, এক্সরে ও আল্ট্রাসনো, প্যাথলজি অপারেশন চালু আছে কিনা। মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্য সহকারী দ্বারা পরিচালিত ইপিআই কার্যক্রমের পারফরমেন্স। সিএইচসিপি দের দ্বারা কমিউনিটি ক্লিনিক এর সেবা সমুহ। অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ও হাসপাতালের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সহ অন্যান্য বিষয়ে নিয়ে ২০২২ ডিসেম্বরের রিপোর্ট অনুযায়ী ৪ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে অনলাইন প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ডিজিএইচ স্কোরিং-এ আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে সপ্তম স্থান অধিকার করেছেন বলে জানিয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ মিজানুল হক জানান, আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অত্যাধুনিক লিপিট প্রোফাইল মেশিন সংযুক্ত করা হয়েছে। এখানে কোন পরীক্ষা নীরিক্ষার ব্যবস্থা ছিলনা। আমি যোগদান করার পর থেকে হাসপাতালের উন্নয়ন, স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়ন, নতুন নতুন যন্ত্রপাতি সংগ্রহের চেষ্টা, হাসপাতাল এলাকাকে সুন্দর পরিবেশে পরিণত করাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের উন্নয়ন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেকগুলো মেশিন, যন্ত্রপাতির সমাগম সম্ভব হয়েছে। চিকিৎসার ক্ষেত্রে নতুন নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ প্রচেষ্টায় এলাকার মানুষের চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তার দিকে খেয়াল রেখে আল্ট্রাসনো গ্রাম মেশিন ও এক্সরে মেশিন ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে হার্ডের বিভিন্ন পরীক্ষা নীরিক্ষা ও কিডনীর ব্যাপারে কিছুটা পরীক্ষার সুযোগ পাবে আশাশুনির মানুষ। বর্তমান পরিস্থিতিতে আশাশুনি হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবার মান আরও এগিয়ে নিয়ে যাব বলে তিনি ব্যক্ত করেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আসা রুগীরা এই প্রতিবেদককে জানান, আগে আশাশুনি হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা সেবা পেতাম না। তবে বর্তমান আসাশুনি হাসপাতালে এসে ভালো চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায়। এখন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মিজানুল হক যোগদান করার পর আশাশুনি হাসপাতালের চিকিৎসা ও সেবার মান অনেক এগিয়ে আছে। আমরা ভালো চিকিৎসা ও সেবা পাচ্ছি বলে সাধারণ জনগণ জানান।