সাতক্ষীরা শ্যামনগরে অবৈধ ভাবে ইতালি যাওয়ার পথে শ্যামনগরে প্রতারণার ফাঁদে ১১ যুবক!
পূণরায় টাকার দাবিতে পার্শ্ববিক নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ফেইসবুক গণমাধ্যমে ৷
ফেসবুক গণমাধ্যমের ভিডিওটি দেখে অনুসন্ধানে জানাগেছে যে, গত ১০ জুন ২০২৩ তারিখে উপজেলার সাহেবখালি, পশ্চিম কৈখালী ও জয়াখালি গ্রামের জাহার আলী কয়ালের ছেলে মামুন, রেজাউল গাজীর ছেলে রাশিদুল, বারী গাজীর ছেলে সামাদ, রুহুল আমিনের ছেলে মিজান, মাস্টার আব্দুর রশিদের ছেলে রাসেল, জহুর আলীর ছেলে রফিকুল, সালাম ঢালীর ছেলে আনারুল, মৃত ফজের আলী গাজীর ছেলে দেলোয়ার, আনছার কয়াল ছেলে মিঠু, জামির আলীর ছেলে আসলাম, আমির আলীর ছেলে জামু লিবিয়ায় প্রবেশ করে ৷
পরে গত ১৪ জুন ২০২৩ তারিখে ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইঞ্জিন চালিত ফাইবার বোর্ডে ইতালির উদ্দেশ্যে রওনা হয় ৷ আবহাওয়ার অবনতি হলে তারা লিবিয়ার তীরে ফিরে আসে ৷
সে থেকে হঠাৎ সবার যোগাযোগ বন্ধ হলে গত ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে ফেসবুক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের উপর অমানবিক নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয় ৷
খোঁজ নিয়ে জানাযায় যে, উপজেলার ধুমঘাট গ্রামের
ওমর আলী গাজীর ছেলে সেকেন্দার আলী তার ভগ্নিপতি শ্রীফলকাটি গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ও যুদ্ধ অপরাধী জলিলের ছেলে হারুনার রশিদের মাধ্যমে ১১ জন, মাথাপিছু ৮ লাখ টাকা চুক্তিতে বাংলাদেশ, দুবাই, লিবিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি পৌঁছে দেবে ৷ নগত ৮ লাখ টাকা দিয়ে পরে লিবিয়ায় পৌঁছে ১ লাখ টাকা দিতে হয় তাদের পরিবারকে ৷
পরে ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রকাশ পাই সেখানে টাকার জন্য অমানবিক নির্যাতন করছে কতিপয় ব্যক্তিরা ৷
মাধ্যম হারুনের বাড়িতে গিয়ে তালা ঝুলানো অবস্থায় দেখাগেছে ৷ হারুনের সাথে যোগাযোগ করলে হারুন জানান তারা ভালো আছে ৷ এবং পুনরায় ভালো আছি মর্মে একটি ভিডিও পাঠান সাংবাদিকদের ফোনে ৷
তবে এ বিষয় কোন পরিবার থেকে অভিযোগ না পেয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানাগেছে যে, তাদের সন্তানদের উদ্ধারে তারা মুখ খুলতে নারাজ ৷ এবং পুনরায় টাকা সংগ্রহে ব্যস্থ তারা ৷
এ বিষয় শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো ৷দ