শিরোনাম ::
বাগেরহাট নৃত্য শিল্পী সংস্থার কার্যকরী কমিটিতে সভাপতি তিথি দেবনাথ,সম্পাদক আল আমীন ভেটখালী বাজারে মোঃ শহিদুজ্জামানের পক্ষ থেকে ৩১ দফার লিফলেট বিতরন সেনা অফিসার পরিচয়ে এলাকায় দাপট দেখান দুই ভাই শ্যামনগরে মদীনাতুল উলুম মাদানীনগর মাদরাসায় হিফজ ছবক উদ্বোধন শ্যামনগরে বেড়িবাঁধ ফাটল আতঙ্কে এলাকাবাসী শ্যামনগরের অন্তাখালী খাল পুনঃখনন কর্মসূচীর শুভ উদ্বোধন সেনাবাহিনীর অভিযানে অবৈধভাবে জেলি পুশকৃত চিংড়ি জব্দ ও আটক দুই সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের অভিযানে এক প্রতারক নাটক শ্যামনগরে এক দিনের ব্যবধানে আবারও পরিত্যক্ত অবস্থায় হাসুয়া ও রামদা উদ্ধার বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য পানির ট্যাংক ও বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ সুন্দরবন প্রেসক্লাবের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত বিজিবি’র অভিযানে নয় কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল আটক ঝিনাইগাতীতে মাটির কুপে পরে ২ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মৃত্যু বিজিবি’র অভিযানে ভারতীয় ট্যাবলেটসহ মালামাল জব্দ ভূয়া এনজিওর বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান, তিন কর্মকর্তা আটক শ্যামনগরে সাজাপ্রাপ্ত আসামি রুহুল কুদ্দুস আটক ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে সাতক্ষীরায় বিএনপির বিক্ষোভ ‌স্বেচ্ছাসেবক আসাদের বিরু‌দ্ধে মিথ‌্যা সংবাদ ছড়ানোর প্রতিবাদে এলাকাবাসীর প্রতিবাদ সমাবেশ সুন্দরবনে আনুষ্ঠানিক ভাবে মধু আহরণ শুরু ছাত্রলীগ নেতা মোঃ সামিউল ইসলাম মুন্না কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শ্যামনগরের সরকারী দিঘির পানি পাইব লাইন স্থাপন করে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহারের অভিযোগ তারেক রহমানের মানবিক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার বার্তা নিয়ে মানুষের কাছে কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা। বংশীপুর বন্ধু মহলের আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা উদযাপন শ্যামনগরে পরিবহন কাউন্টারে মোবাইল কোর্ট মানিকগঞ্জ সাংবাদিকের উপর হামলা ছিনতাই সাতক্ষীরায় আবারো ভেঙ্গেছে উপকূলের বাঁধ ঈদ আনন্দ নেই গ্রামবাসীর মনে সীমান্তে বিজিবি’র চোরাচালান বিরোধী অভিযান ছয় লক্ষ টাকার ভারতীয় মালামাল উদ্ধার সাতক্ষীরা সদরে তাঁতীদলের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন পানিতে ডুবে একই পরিবারের ২ শিশুর মৃত্যু আওয়ামীলীগের হরতাল ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শ্যামনগরে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ

শেরপুরে আদিবাসীদের হাতে তৈরি ঐতিহ্যবাহি পোষাক বিলুপ্তির পথে

মোঃ বিল্লাল হোসেন, শেরপুর থেকেঃ
হালনাগাদ : রবিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৪

শেরপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী (আদিবাসী) সম্প্রদায়ের লোকদের নিজ হাতে তৈরি ঐতিহ্যবাহী বাহারি রঙ্গের পোশাকগুলো আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। সুতার মূল্য বৃদ্ধি,অভিজ্ঞ কারিগরের অভাব ও অর্থনৈতিক দৈনতার কারনে আদিবাসীদের হাতে তৈরি বাহারি রঙ্গের পোশাকগুলো হারিয়ে যাওয়ার মুল কারন বলে জানা গেছে।

এসব পোষাকগুলো এখন আর আগের মতো চোখে পড়েনা। জানা যায়, গারো পাহাড়ের পাদদেশে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্ত ঘেষে অবস্থিত শেরপুর জেলা। এ জেলার সীমান্তের তিনটি উপজেলার প্রায় ৪০ কিলোমিটার পাহাড়ি এলাকা জুড়ে রয়েছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের লোকজনের বসবাস। আদিবাসী সংগঠন ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সুত্রে জানা গেছে, নালিতাবাড়ি, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর গারো,হাজং,কোচ,বানাই,বর্মনসহ বিভিন্ন জাতীগোত্রের প্রায় ৪০ হাজার আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকদের বসবাস। রাংটিয়া আদিবাসী নেতা যুগল কিশোর কোচ বাঁকাকুরা গ্রামের ধীমানচন্দ্র কোচ জানায় একসময় এদের ছিল জমিজমা, গোয়াল ভরা গরুসহ ফসলাদিতে ভরপুর। কিন্তু কালের আবর্তে সবকিছু হারিয়ে আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকজন এখন ভূমিহীনে পরিণত হয়েছে।
তারা বলেন, অতীতে আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকেরা নিজের হাতে তৈরি বাহারি রংয়ের ঐতিহ্যবাহী পোশাক তৈরি করে ব্যবহার করছিল । সচরাচর প্রায় সকল আদিবাসী নারীদের পরনে দেখা যেতো তাদের হাতে তৈরি বাহারি রঙ্গের পোশাক। কোচ সম্প্রদায়ের নিজ হাতে তৈরি বাহারি রঙ্গের পোষাকের মধ্যে রয়েছে লেফেন, বাশেক,উর্না। গারো সম্প্রদায়ের নিজ হাতে তৈরি পোষাকের মধ্যে রয়েছে দকমান্দা,দকশারী, উর্না। তবে হাজং ও বানাই সম্প্রদায়ের লোকজন কোচ সম্প্রদায়ের পোষাকই নিজ হাতে তৈরি করে পরিধান করে থাকতো। কিন্তু এখন আর আদিবাসী নারীদের পরনে আগের মতো বাহারি রঙ্গের পোশাক চোখে পড়ে না।
তবে তথ্যানুসন্ধ্যানে জানা গেছে, আদিবাসীদের অর্থনৈতিক দৈনতা, অভিজ্ঞ কারিগরের অভাব ও সুতার মুল্য বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকদের নিজ হাতে তৈরি পোষাকগুলো দিনে দিনে প্রায় বিলুপ্তির পথে।
উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্ঠান ঐক্য পরিষদের সভানেত্রী মিঃ রবেতা ম্রং বলেন আদিবাসীদের অর্থনৈতিক সংকট, সুতার মূল্য বৃদ্ধি, সরঞ্জামাদির অভাবসহ বস্ত্র তৈরিতে পারদর্শী কারিগরের অভাবে আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকজন আগের মত আর নিজ হাতে পোশাক তৈরি করতে পারছে না। ঝিনাইগাতী উপজেলা টাইব্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান নাবেশ খকশী বলেন অতীতে সবাই কাপড় তৈরিতে অভ্যস্ত ছিল। তারা মারা যাওয়ার পর নতুন প্রজন্মের লোকজন এসব বাহারি রঙ্গের পোষাক তৈরি করতে না পারার কারনে দিনে দিনে আদিবাসী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী হাতে তৈরি বাহারি রঙ্গের পোশাকগুলো আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। শ্রীবরদী উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান প্রাঞ্জল এম সাংমা বলেন, , সকল প্রতিকূলতার মাঝেও ১০% আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকেরা এখনো তা ধরে রেখেছে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকদের বিয়ে-শাদীতে এখনো চোখে পড়ে এসব বাহারি রঙ্গের পোশাক। রাংটিয়া গ্রামের আদিবাসী নেতা জাগেন্দ্র কোচ বলেন, সরকারিভাবে অর্থনৈতিক যোগান পাওয়া গেলে আবারো আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকেরা নিজ হাতে বাহারি রঙের পোশাক তৈরিতে আগ্রহ বারবে।


এই বিভাগের আরো খবর